বেশিরভাগ মানুষেরই তার নিজের কন্ঠ নিজের কাছে শুনতে ভালো লাগে না(রেকর্ডিং)। এটার কারন কি?

 আমরা যখন বাইরে থেকে কোন শব্দ শুনি, সেটা বাতাসের মাধ্যমে আমাদের কানে প্রবেশ করে, তারপর কানের পর্দা বা ইয়ার ড্রাম দিয়ে গিয়ে কানের ভেতরে ককলিয়া (cochlea) অংশে যায়, সেখান থেকে এই শব্দ তরঙ্গ আমাদের মস্তিষ্কে গিয়ে বুঝিয়ে দেয় যে এটা কিসের শব্দ। তাই অন্যকেউ আপনার কথা শুনলে তিনি এই পদ্ধতিতে শুনবেন।


কিন্তু আমরা নিজে যখন নিজের কথাগুলো শুনি, তখন সেই আওয়াজ আমাদের মস্তিষ্কে প্রবেশ করে দুইভাবে। একটা হচ্ছে ওই বাতাসের মাধ্যমে পৌঁছনো। এই শব্দের আরেকটা অংশ আমাদের মাথাhttps://jagoron18.blogspot.com/2021/01/blog-post.htmlর হাড়ের মধ্যে দিয়ে ঘুরে গিয়ে সরাসরি ককলিয়ায় যায় এবং তারপর মস্তিষ্কে পৌঁছয়। এটাকে বলে বোন কন্ডাকশন (bone conduction)। আমরা যখন রেকর্ড করি তখন ওই বোন কন্ডাকশনের ব্যাপারটা থাকে না। বোন কন্ডাকশন থাকাকালীন নিজের গলাটা কিছুটা বেশি গভীর বা ভরাট লাগে শুনতে, পরে রেকর্ড করে শুনলে মনে হয় যে আমাদের গলাটা তার চেয়ে আরেকটু অন্যরকম। অর্থাৎ অন্যরা আমার কথা যেভাবে শোনেন আমিও তখন নিজের কথা সেভাবে শুনি ,তাই আলাদা লাগে শুনতে।


তথ্যসূত্রঃ 

https://www.wonderopolis.org/wonder/why-does-my-voice-sound-different-on-a-recording

Comments

Popular posts from this blog

#আব্দুল_কাদের_মোল্লা_সিটি_কলেজ!